সকল প্রকারের তাবিজ শিরীক, এমন কি কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবিজ লিখাও বৈধ নয়।

Views

সকল প্রকারের তাবিজ শিরীক, এমন কি কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবিজ লিখাও বৈধ নয়,,

1/ রাসূল (সাঃ) বলেছেন :
যাদু, তাবীজ এবং অবৈধ, প্রেম ঘটানোর ম'ন্ত্র শির্ক-এর অন্তর্ভুক্ত।
(সুনান আবূ দাউদ, হাদিস নম্বর : ৩৮৮৩)

অর্থাৎ যাদু করে প্রেম ভালবাসা তৈরি করাও শিরীক।

2/ " শরিরে যেকোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো
শিরক "
[মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২]

3/ আল্লাহ বলেন :

"নিশ্চয় আল্লাহ শির্কের গোনাহ মাফ করেন না, এছাড়া সকল গোনাহ আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করেন।
(সুরা:নিসা,আয়াত :৪৮,১১৬)

"মুমিনদের সর্ব অবস্হায় আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত"।
(মায়েদা :২৩)

"আপনি যদি শির্ক করেন আপনি ক্ষতিগ্রস্ত দের অন্তভুক্ত হবেন এবং আপনার আমল নষ্ট হয়ে যাবে"।
(যুমার:৬৫)

"যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে শির্ক করে,আল্লাহ তার জন্য জান্নাত কে হারাম করে দেন,জাহান্নাম কে অবধারিত করে দেন"।
(সূরা মায়েদা : ৭২)

যদি কেউ যাদু টোনার সমস্যায় ভোগে -- খাটি ঈমানের সাথে সূরা ফালাক, সূরা নাস প্রতিদিন কয়েকশবার ওজু করে পড়তে হবে, তাহলে সুফল পাবেন।

নতুবা একজন আলেমের কাছে যাবেন যিনি কুরআন পড়ে চিকিৎসা করবে।

আরব দেশেও জিন, যাদু টোনার চিকিৎসা আছে, সেখানে অসংখ্য মানুষ কুরআনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়, কোন তাবিজ ব্যবহার করে না কেউ, এমন কি কুরআনের আয়াত লিখেও আরব দেশে কেউ তাবিজ ব্যবহার করে না।

4/ রাসূল (সাঃ) বলেছেন :

" কেবল বদনযর লাগা কিংবা বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক দেয়া যায় "
(সুনান আবূ দাউদ, হাদিস নম্বর : ৩৮৮৪)

বদ নজরটা জীন, মানুষের হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক করতে হবে ইসলামের পথে, আলেমের মাধ্যমে, যাদুকরের মাধ্যমে নয়।

5/ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন : ভূত-প্রেত নেই।
(সুনান আবূ দাউদ, হাদিস নম্বর : ৩৯১৩)

জিন আছে পৃথিবীতে, তবে মৃত মানুষের আত্না, প্রেত এসব নাই।

6 / রাসূল (সাঃ) বলেছেন :

যার হাতে আমার জীবন তার কসম যখন শাইতান উমর (রাঃ) কে কোন রাস্তায় চলতে দেখে তখন সে
উমরের রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ ধরে চলে।
(সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর : ৬০৯৬)

শয়তান হল জিন জাতি। উমর (রাঃ) এর ছিল প্রচুর সাহস, আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পেতেন না,

জিন বা ভূত যাই বলিনা কেন, এদেরকে ভয় পাওয়া যাবে না, জিনকে যত বেশি ভয় পাবেন, জিন ততই অহংকারী হয়ে উঠবে এবং এরা তত বেশি চেপে ধরবে।

6 / রাসূল (সাঃ) বলেছেন :

যে লোক কোন কিছু ঝুলিয়ে রাখে (তাবিজ-তুমার) তাকে তার উপরই সোপর্দ করা হয়।
(সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বর: ২০৭২)

অর্থাৎ যে তাবিজ ঝুলাবে, তাকে তাবিজের উপর নির্ভরশীল করে দেয়া হয়।

7 / রাসূল (সাঃ) এক ব্যক্তির হাতে পিতলের বালা পরিহিত দেখে জিজ্ঞেস করেন : এই বালাটা কী?

সে বললো, এটা অবসন্নতা জনিত রোগের জন্য ধারণ করেছি। তিনি বলেন : এটা খুলে ফেলো। অন্যথায় তা তোমার অবসন্নতা বৃদ্ধিই করবে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর : ৩৫৩১)

আফসোস, আমাদের দেশের মানুষ মুসলিম হওয়া সত্বেও এসব তান্ত্রিক কবিরাজের কাছে যায়, মেয়ের বিয়ে হয় না কেন সে জন্য তাবিজ আনে, চিনি পরা, পানি পরা আনে,,,  অথচ এগুলো জঘণ্যতম শিরীক।

জীন যত শক্তিশালী হউক না কেন, আরব দেশের মানুষ কুরআনের আয়াত দিয়ে চিকিৎসা করে, এতেই জিন পালিয়ে যায়, তাবিজও ব্যবহার করতে হয় না।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন।
আমিন।     


কোন মন্তব্য নেই

✔যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের কে জানাবেন।
❌প্লিজ কেউ কেনো প্রকার আজে বাজে কমেন্ট করবেন না।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.